ধর্ম ডেস্ক: ইতেকাফ তিন ধরনের। যথা—
১. ওয়াজিব : ওয়াজিব ইতেকাফ হলো, মানতের ইতেকাফ। অর্থাৎ কেউ যদি মানত করে, ‘আমার কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন হলে আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ার্থে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ইতেকাফ করব।’ কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়ে গেলে অবশ্যই ইতেকাফ করতে হবে। এই ইতেকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত। রোজা ছাড়া এই ইতেকাফ আদায় হবে না।
২. সুন্নতে মুয়াক্কাদা : সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতেকাফ হলো, মাহে রমজানের শেষ দশকের ইতেকাফ। এটি মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে কমপক্ষে একজন মানুষ হলেও আদায় করতে হবে। নতুবা সবাই গোনাহগার হবে।
৩. মুস্তাহাব বা নফল : মুস্তাহাব ইতেকাফ হলো, কিছুক্ষণের জন্য ইতেকাফের নিয়ত করে মসজিদে অবস্থান করা। এটা অত্যন্ত বরকতময় ও সওয়াবের কাজ। স্বাভাবিকভাবে সবাই মসজিদে প্রবেশ করার সময় ইতেকাফের নিয়ত করলে ইতেকাফও আদায় হবে, সওয়াব পাওয়া যাবে।
নফল ইতেকাফও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল; তাই সম্পূর্ণ রমজানের শেষ দশকে সুন্নত ইতেকাফ পালন করতে না পারলে যতদূর সম্ভব, নফল ইতেকাফ করাও গুরুত্বপূর্ণ। নফল ইতেকাফ বছরের যে কোনো সময়ই করা যায়। ইতেকাফের জন্য রোজা শর্ত; কিন্তু রমজানের বাইরে স্বল্প সময় (একদিনের কম সময়) ইতেকাফ করলে তার জন্য রোজার শর্ত নয়।
পূর্ণ দিবস ইতেকাফের জন্য রোজা শর্ত। নফল ইতেকাফ মানত করলে বা আরম্ভ করে ছেড়ে দিলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব। এর জন্যও রোজা শর্ত এবং এটি একদিন (চব্বিশ ঘণ্টা) এর কমে হবে না।
(মাজমুআয়ে ফাতাওয়া)।